খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযাত্রা- কোনোদিকেই মনোযোগ নেই মানুষ। ফলে অল্প বয়সেই আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে। প্রতিটি মানুষেরই নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে পুরুষদের। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের ভুলভ্রান্তির কারণে পুরুষরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
বয়স ৪০ পার হলেই শরীরে বিভিন্ন গুরুতর রোগ বাসা বাঁধে। তাই প্রতিটি পুরুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৪০ পার হলেই বা তার আগে থেকেই বছরে একবার ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, চেস্ট এক্স রে, প্রয়োজনে ট্রেডমিল টেস্ট করা যেতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসক প্রয়োজনীয় মনে করলে আরও টেস্ট দিতে পারেন। ৪০ বছর বয়সে কী কী টেস্ট করানো উচিত জানুন।
কোলেস্টেরল
শরীরে জমে থাকা মোমজাতীয় পদার্থ কোলেস্টেরল। এটি রক্তনালীতে জমে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ করে। হৃদপিণ্ডজনিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ এই কোলেস্টেরল। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করাতে হবে। প্রতিবছর একবার এই টেস্ট করান।
ডায়াবেটিস
বর্তমানে প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিটি মানুষকে এই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ ডায়াবেটিস কিডনি, চোখ, স্নায়ুসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হয়। বছরে একবার ডায়াবেটিস টেস্ট করান। এক্ষেত্রে ফাস্টিং ব্লাড সুগার, পিপি সুগার, এইচবিএ১ সি টেস্ট দিতে পারেন চিকিৎসক।
প্রেশার
ঘরে ঘরে এখন পাওয়া যাচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের রোগী। এই রোগটির চিকিৎসা প্রথম থেকেই করানো উচিত। তাই প্রতিবছর অন্তত একবার প্রেশার মেপে দেখুন। মাত্রা যদি বাড়তি থাকে তাহলে প্রতি মাসে একবার করে পরীক্ষা করতে হবে। এতে প্রেশার বাড়তি থাকলে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে পারবেন।
ভিটামিন ডি
পুরুষের যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আর্থ্রাইটিস। এর ফলে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ভিটামিন ডি-এর পরীক্ষা করতে হবে। এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে হাড়ের পাশাপাশি, লিভার ও হার্টের সমস্যারও কারণে হতে পারে।
এসব পরীক্ষার পাশাপাশি করতে হবে ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম-পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন টেস্ট। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। সেসঙ্গে জীবনযাত্রায়ও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, পরিমিত ঘুম আর কম দুশ্চিন্তার মাধ্যমে সুস্থ থাকুন।
সূূূএ:ঢাকা মেল ডটকম